পিবিআইয়ের হেফাজতে গ্রেপ্তার চোর মো. তারেক হাওলাদার। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. সামছুল হুদার ভাষানটেক থানাধীন ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসা থেকে চার বছর আগে একটি পিস্তল চুরি হয়। সেই পিস্তল সম্প্রতি বরিশালের গৌরনদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো (উত্তর)।

ভাষানটেক থানায় দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. সামছুল হুদা (৬৩) গুলশান-২ এলাকার চেম্বারে প্র্যাকটিস করার জন্য বিকেল সাড়ে ৪টায় বের হন। তাঁর বাসার অন্য সদস্যরা দেশের বাইরে থাকায় ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ করে রেখে যান। রাত ১১টায় বাসায় ফিরে দেখেন, তাঁর শোয়ার ঘরের আলমারি খোলা ও তছনছ করা। চোরের দল টাকা, স্বর্ণালংকার ও লাইসেন্স করা ১টি পিস্তল, ৫০টি কার্তুজ ও ২টি ম্যাগাজিন চুরি হয়েছে।

উল্লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভাষানটেক থানার পুলিশ ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১১ মার্চ পর্যন্ত তদন্ত করে।

পরে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইতে ন্যস্ত করা হয়।

অ্যাডিশনাল আইজিপি, পিবিআই বনজ কুমার মজুমদারের তত্ত্বাবধান ও দিক-নির্দেশনায় এবং পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিপিএম-সেবা এর নিবিড় তদারকিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞার নেতৃত্বে একটি চৌকস দল ৩ জুন অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন চোর মো. তারেক হাওলাদারকে (২১) তাঁর গৌরনদীর নিজ বসতবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, ব্রিগেডিয়ার সামছুল হুদার বাসায় গ্রিল কেটে তিনি নিজেই চুরি করেছেন। চুরি করা পিস্তলটি তাঁর নিজ বসতঘরের রান্নাঘরের মাটির নিচে পুঁতে রেখেছেন। আসামির স্বীকারোক্তি মোতাবেক স্থানীয় লোকজনের সামনে রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়ে পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার তারেক হাওলাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।