ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার অভিযানে গ্রেপ্তার তিনজন ও উদ্ধার হওয়া টাকা। ছবি: পুলিশ নিউজ

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। একই সঙ্গে প্রাইভেট কারসহ ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

নান্দাইলের দেওয়ানগঞ্জ বাজারের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন ৮ অক্টোবর দুপুরে ইসলাম ব্যাংকের ভালুকা শাখা থেকে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। তিনি পাঁচ যাত্রীসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে গফরগাঁও থানাধীন এশিয়ান হাইওয়ের রাওনা টানপাড়া এলাকায় পৌঁছালে একটি সাদা প্রাইভেট কার অটোরিকশাটির গতিরোধ করে এবং তিন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে তাঁকে জোর করে প্রাইভেট কারে উঠিয়ে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ১৬ লাখ টাকা ও সাদ্দাম হোসেনের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ডাকাতি করে। সাদ্দাম হোসেনের হাত ও চোখ বেঁধে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন ভান্নারা বাজারে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে তারা প্রাইভেট কারটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গফরগাঁও থানায় একটি ডাকাতির মামলা হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিবির চৌকস টিম ডাকাতির রহস্য উদঘাটনকে ময়মনসিংহ, গাজীপুর ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে এবং শুক্রবার রাতে ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য আনোয়ার হোসেনকে (৩৯) গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সদর থানাধীন লক্ষ্মীপুরা তালুকদার পুকুরপাড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এরপর শনিবার ভোররাত ৪টা ৫০ মিনিটে ঢাকার সাভার থেকে ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী লিটন কাজী ওরফে দেলোয়ার কাজী (৪০) ও তাঁর সহযোগী রুবেল মিয়াকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৮০ হাজার টাকা, লিটন কাজী ওরফে দেলোয়ার কাজীর কাছ থেকে লুণ্ঠিত ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়। রুবেল মিয়ার কাছ থেকে লুণ্ঠিত ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

আসামিদের আদালতে সোপর্দের প্রক্রিয়া এবং জড়িত অপর ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।