জব্দ করা কয়েন। ছবি : ডিএমপি

কথিত ম্যাগনেটিক কয়েনের মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) গুলশান বিভাগ।

ডিএমপি জানায়, গত শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডি থানাধীন লেকপাড় এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিরা হলেন মো. ইউসুফ আলী, মো. খবির চৌকিদার, মো. শামীম, মো. নাসির উদ্দিন আকন ও মো. জসিম গাজী। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে কথিত ১০টি ম্যাগনেটিক কয়েন জব্দ করা হয়।

গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম রেজাউল হক বলেন, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে কয়েকজন ম্যাগনেট কয়েন ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিচয় হয় ভুক্তভোগীর। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে একটি কয়েনের কথা বলেন ওই ব্যবসায়ীরা। এই কয়েন অনেক টাকায় বিক্রি করা সম্ভব বলে জানান। ম্যাগনেট কয়েন কেনার জন্য মিন্টু নামের এক ব্যক্তি বিনিয়োগ করেছেন, জানতে পেরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ এলাকায় যান ভুক্তভোগী। সেখানে ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ভুক্তভোগীকে পরিচয় করিয়ে দেন ম্যাগনেট কয়েন ব্যবসায়ীরা। এ সময় ভুক্তভোগীকে ম্যাগনেট কয়েন কিনতে উৎসাহিত করেন ইউসুফ। পরে ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফের অফিসে প্রায়ই যাতায়াত করতে থাকেন ভুক্তভোগী। গত ২৮ আগস্ট ম্যাগনেট কয়েন কিনতে অভিযুক্তদের ৭৫ লাখ টাকা দেন ভুক্তভোগী।

পুলিশ আরও জানায়, ৩ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীকে নিয়ে বরিশালে যান ইউসুফ। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে কয়েন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীকে হোটেলে রেখে কয়েন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করতে যান ইউসুফ। পরে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন ভুক্তভোগী। তখন প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন ভুক্তভোগী। এরপর খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন তিনি।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মামলাটির তদন্তকালে আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডি থানাধীন লেকপাড় এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।