দেশে ডিজিটাল অর্থনীতির প্রসারে সহায়ক পরিবেশ তৈরি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে বাংলাদেশকে ২৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক ।

বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা।

ইউরোপীয় আন্তব্যাংক সুদ হারের (ইউরোবর) সঙ্গে শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ সুদ হারসহ সব মিলিয়ে প্রায় ২ শতাংশ সুদসহ ৩৪ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে ঋণের রেয়াতকাল ধরা হয়েছে চার বছর। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি মিয়াং টেম্বন রোববার এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে সই করেন।
শেরেবাংলা নগরের ইআরডি সম্মেলনকক্ষে এ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘এনহেন্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এ প্রকল্পটি ২০২৬ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে ডিজিটাল অর্থনীতি প্রসারে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা এবং দেশীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিশিল্পের প্রসার ঘটানো।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হবে সরকারি ও বেসরকারি খাতের ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ডিজিটালাইজেশন করা এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহ জোগানো।

এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি ডিজিটাল লিডারশিপ অ্যাকাডেমি স্থাপনের মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতি-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগও সৃষ্টি করা হবে এই ঋণের অর্থে।