গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। গত শনিবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

রাজধানীতে অভিযান পরিচালনা করে কসাইসহ গরুচোর চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। খবর ডিএমপি নিউজের।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জাকির হোসেন, বিল্লাল মিয়া, ইউসুফ, রিপন, রজব আলী, জুবায়ের, আলামিন ও আলমগীর। তাঁদের মধ্যে জুবায়ের, আলামিন ও আলমগীর কসাই।

গত শুক্রবার বিকেলে গাবতলী ও কদমতলী এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম। এ সময় তাঁদের হেফাজত থেকে চুরির ৬টি গরু এবং গরু পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (১৩ মে) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ জেলার কালিয়া কান্দাপাড়া গরুর হাট থেকে একটি গরু চুরি হয়। গরুর মালিক হাট কমিটির সহায়তায় গরুর খোঁজে ঢাকার গাবতলী গরুর হাটে আসেন। তিনি ডিবি পুলিশকেও বিষয়টি অবগত করে সহায়তা চান। একপর্যায়ে শুক্রবার বিকেলে একটি পিকআপসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। উদ্ধার করা হয় চুরি যাওয়া গরুটি। তাদের দেওয়া তথ্যমতে পরবর্তী সময়ে কদমতলীর নূরপুর এলাকা থেকে ৩ জন কসাইকে আরও ৫টি গরুসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, কসাইদের সঙ্গে চোরদের যোগাযোগ থাকত। কিছু ক্ষেত্রে কসাইরা চোরদের অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখত। গরু পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই কসাইরা জবাই দিয়ে গোশত বিক্রি করে ফেলত। এ কারণে গরুর মালিক বা পুলিশের পক্ষে গরু উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। গরু কোথাও রাখার প্রয়োজন হতো না ফলে ধরা পড়ার ঝুঁকিও ছিল না। এটা চোরদের কাছে ছিল দ্রুত টাকা ইনকামের সহজ ব্যবসা। তারা কয়েক বছর ধরে বাড়ি বা গরুর হাট থেকে এভাবে গরু চুরি করে কসাইদের কাছে বিক্রি করে আসছে।

তিনি আরও বলেন, এই চোর চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা উদঘাটন করা হবে। কোনো কোনো কসাই এই চোরদের কাছ থেকে গরু ক্রয় করত, তাদের তালিকা করে অভিযান চালানো হবে। ঢাকার দারুস সালাম থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।