মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২ থেকে ১৭ বয়সী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলক টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: বিডিনিউজ২৪ডটকম।

দেশে এক কোটির বেশি শিশুকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২ থেকে ১৭ বয়সী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলক টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করে তিনি এ কথা জানান। খবর বিডিনিউজ২৪ডটকমের।

প্রথম পর্যায়ে ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‌’সারা দেশে এক কোটির বেশি ছেলেমেয়েকে আমরা টিকা দেব। এটা পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‌’আমাদের হাতে এখন ৬০ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা আছে। সারা দেশে ২১টি জায়গায় টিকাদান কার্যক্রম চালানো হবে। ঢাকায় একটি বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও টিকাদান হবে।’
বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের চারটি স্কুলে নবম ও দশম শ্রেণির ১২০ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে জেলা শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ জন, সরকারি এস কে বালিকা বিদ্যালয়ের ৫০ জন, গড়পাড়া জাহিদ মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ জন এবং আটিগ্রাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে আসছে। তারা যাতে করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদে এবং সুরক্ষিত থাকে, সে জন্য আজ পরীক্ষামূলকভাবে আমরা স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগ শুরু করলাম।’

টিকা নেওয়ার আগে জন্মনিবন্ধন কার্ডের মাধ্যমে টিকার নিবন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। টিকা দেওয়ার পর তাদের বিশ্রামকেন্দ্রে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

এর আগে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, যাদের টিকা দেওয়া হবে, তাদের ১০ থেকে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে সরকার। এত দিন বয়স্ক ব্যক্তিরা টিকা পেলেও ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুরা এই কার্যক্রমের বাইরে ছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, বুধবার পর্যন্ত সারা দেশে ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১ কোটি ৮৫ লাখ ৯৪ হাজারের বেশি মানুষ।