রায় ঘোষণার পর ডা.সাবরিনা চৌধুরীকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণার দায়ে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তাঁর স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ১১ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১১ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। খবর আজকের পত্রিকার।

বাকি আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হ‌ুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।  

এর আগে গত ২৯ জুন রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়। গত ২০ জুন এই মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। ওই দিন আদালতের নজরে আসে, ইয়াসিন নামে এক সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হলেও আসামি সাবরিনার পক্ষে তাঁকে জেরা করা হয়নি। পরে তাঁকে জেরা করার জন্য ২৯ জুন তারিখ ধার্য করা হয়। ওই দিন সাক্ষী ইয়াসিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়। গত ২০ এপ্রিল এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এই মামলায় মোট ২৬ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। 

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথ কেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশির ভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এই অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। একই বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।