নিজ কার্যালয়ে জামালপুর জেলা পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ।

জামালপুরে মোটরসাইকেল চুরি প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জেলা পুলিশ। জেলার মানবিক পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ মোটরসাইকেল চোরদের আটকে চিরুনি অভিযান শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সাদাপোশাকে ডিবি পুলিশের মাধ্যমে মোটরসাইকেল চোর ও চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান,জেলার মোটরসাইকেল চুরি প্রতিরোধে ৭ থানার অফিসার ইনচার্জদের কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যেই মোটরসাইকেল চুরির ৩টি মামলায় চোর চক্রের মূল হোতাসহ ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া ১২টি মোটরসাইকেল চুরির সরঞ্জামসহ মাস্টার কি আটক করা হয়েছে। একজনকে পুলিশি রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর থানায় মোটরসাইকেল চোর চক্রকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জামালপুরের মোটরসাইকেল চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

তিনি আরও বলেন,জেলার ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযানে সাত উপজেলায় কাগজপত্রবিহীন ৪ শতাধিক মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। কাগজপত্রবিহীন এসব মোটরসাইকেল দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চুরি করে আনা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে আরও তদন্ত করে জেলার চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, মোটরসাইকেল চুরি প্রতিরোধে জেলায় ইতিমধ্যেই জেলা ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযানে জরিমানা বাবদ বিগত ২০২০ সালে যেখানে সরকারি রাজস্ব আয় ছিল ৭ লাখ টাকা । মানবিক এই পুলিশ সুপার যোগদানের পরেই ২০২১ সালে ট্রাফিক বিভাগ সরকারি রাজস্ব আয় করে ৬৫ লাখ টাকা এবং বর্তমানের ২০২২ সালে ট্রাফিক বিভাগের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি টাকা, যা এ বছরের মধ্যেই সরকারি কোষাগারে জমা করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সব মিলিয়ে মানবিক পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ যোগদানের পর থেকেই মাদক, সন্ত্রাস, ইভ টিজিং, মোটরসাইকেল চুরি প্রতিরোধসহ জেলার ট্রাফিক বিভাগের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি প্রতিটি পুলিশ দপ্তরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আসন সংরক্ষণ, হতদরিদ্রদের আর্থিক অনুদান, অসুস্থ রোগীদের নিজের বেতনের টাকায় চিকিৎসাসেবা দিয়ে জেলাবাসীর হৃদয়ের মণিকোঠায় মানবিক পুলিশ সুপার হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন। পুলিশের পেশাগত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালনে তিনি সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।