জাপানে উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নেওয়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ১৩ কর্মকর্তা ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (২৭ মে) সকালে রাজধানীর ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলকক্ষে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ডিএমপি কমিশনার।
জাইকার ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় ‘ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ ৮ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত জাপানে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ওপর বাস্তবমুখী গুরুত্বপূর্ণ ধারণাসহ জাপানের রোড ট্রাফিক সেফটি, অ্যাকসিডেন্ট ডেটা অ্যানালাইসিস, ট্রাফিক সিমুলেশনস, ট্রাফিক ওয়ার, পাবলিক রিলেশনস অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নেন ডিএমপির কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া সদস্যগণ হলেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম; অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-তেজগাঁও) কাজী রোমানা নাসরিন পিপিএম; অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) কে এন রায় নিয়তি; সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক রমনা) মো. সাকিব হোসাইন; সহকারী পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-উত্তরা বিভাগ) বাহা উদ্দীন ভূঁঞা; সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-মিরপুর জোন) মো. হালিমুল হারুন, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মো. সুজাউদ্দৌলা চৌধুরী, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মোস্তফা কামরুল হাসান, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মো. আবু জাফর, সার্জেন্ট বিপ্লব হোসাইন, সার্জেন্ট মিনহাজুল হোসাইন খান ও সার্জেন্ট এস এম কামরান।
এ সময় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনারের কাছে প্রশিক্ষণের বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রশিক্ষণার্থীরা। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও জনসাধারণকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন করতে জাপান ট্রাফিক পুলিশের অভিজ্ঞতা কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়।
মানুষকে শৈশব থেকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জানানো ও অভ্যস্ত করে তুলতে চিলড্রেনস ট্রাফিক পার্ক স্থাপন জাপান ট্রাফিক পুলিশের অন্যতম কৌশল। এ কৌশল কাজে লাগিয়ে ঢাকা মহানগরীর জনসাধারণকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে ঢাকায় চিলড্রেনস ট্রাফিক পার্ক স্থাপনের যৌক্তিকতা উপলব্ধি করেন ডিএমপি কমিশনার। এ জন্য তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা ও উত্তরার দিয়াবাড়ি পুলিশ লাইনসে ট্রাফিক পার্ক স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পরিদর্শনের নির্দেশ দেন।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনাদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগ ঘটিয়ে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়নে কাজ করবেন।
সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান বিপিএম, জাইকা ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
