মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) এবং ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (ইপিএ) করতে হবে। ইতিমধ্যে ভুটানের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর হয়েছে। জাপানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে সে দেশের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষরের প্রস্তুতি গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এবং জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেবিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে এফটিএ/ইপিএর সম্ভাব্যতা যাচাই’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।

টিপু মুনশি বলেন, জাপান বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র এবং উন্নয়ন সহযোগী। গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার। তিনি বলেন, জাপানের সাথে এফটিএ বা ইপিএ স্বাক্ষরের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করার সময় এসেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জাপানের পাশাপাশি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী অংশীদার কানাডা, চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়ার সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা করছে। তিনি জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী অংশীদার দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের নির্দেশ প্রদান করেছেন। এতে করে বাংলাদেশ সাময়িকভাবে শুল্ক হারালেও দীর্ঘ মেয়াদে লাভবান হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য এখন খুবই আকর্ষণীয় স্থান। বাংলাদেশ উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশের সঙ্গে বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য বাড়াতে কাজ করছে। এ ছাড়া যেসব দেশে রপ্তানির পরিমাণ বেশি, তাদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইটো, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মাহফুজার আকতার। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেট্রোর আবাসিক প্রধান ইউজি আনদো।

প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মোহাম্মদ মাহবুবুল হক, জেবিসিসিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমান, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রেজা এবং জাপানিস কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইয়ংহো লি।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন জেবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আসিফ এ চৌধুরী। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন জেবিসিসিআই সেক্রেটারি জেনারেল তারেক রাফি ভূইয়া জান।