মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উদ্বোধন করেন তিনি। খবর বাসসের।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ সময় জনগণকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবার পরামর্শ দিয়ে বলেন, উৎপাদনের চেয়ে অনেক কম মূল্য সরকার গ্রাহকদের কাছ থেকে নিচ্ছে। কাজেই ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে আরও বেশিসংখ্যক জনগণকে বিদ্যুতের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র

হবিগঞ্জের জুলদায় ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিবিয়ানা-৩ বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রামে ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র ইউনিট-২, নারায়ণগঞ্জে মেঘনাঘাট ১০৪ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট, বাগেরহাটে মধুমতি ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সিলেটের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে উত্তরণ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হল থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসেকা আয়েশা খান; জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিসুর রহমান; বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান এবং গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, ২০০৯ সালে কাজ শুরুর পর সরকার সফলভাবেই ২০ হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম ১১৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। ২০২১ সাল নাগাদ ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছিল সরকার। তবে এরই মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে, যা ২০০৯ সালে ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। শতকরা ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ জনগণকে বিদ্যুতের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।