বাংলাদেশ পুলিশের নারী ফর্মড পুলিশ ইউনিটের (এফপিইউ) ১৮০ জন সদস্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনাইটেড ন্যাশনস অর্গানাইজেশন স্ট্যাবিলাইজেশন মিশন ইন দ্য ডিআর কঙ্গোতে (এমওএনইউএসসিও) যোগ দিতে বাংলাদেশ ছেড়েছেন।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইটে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসার উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন তাঁরা।
পুলিশ সুপার মারুফা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-১৬)-এর সদস্যগণ বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-১৫)-এর স্থলাভিষিক্ত হবেন। এই ফর্মড পুলিশ ইউনিটে ডেপুটি কমান্ডার মোহাম্মদ শফিউল ইসলামসহ ১৪ জন কমান্ডিং স্টাফ রয়েছেন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (অপারেশনস) মো. হায়দার আলী খান এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ওভারসিস অ্যান্ড ইউএন অপারেশনস সেকশনের সদস্যগণ ডিআর কঙ্গোগামী শান্তিরক্ষীদের বিমানবন্দরে বিদায় জানান।
উল্লেখ্য, ডিআর কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রথমবারের মতো ২০০৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশের এফপিইউ পাঠানো হয়। ২০১১ সাল থেকে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে বাংলাদেশ পুলিশ নারী এফপিইউ পাঠিয়ে আসছে। ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তাগণ ইনডিভিজুয়্যাল পুলিশ অফিসার (আইপিও) হিসেবে মিশনটিতে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবতার কল্যাণের অঙ্গীকারে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। সেই থেকে বাংলাদেশ পুলিশ জাতিসংঘের নীল পতাকার পাশে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উড্ডীন করেছে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশের দুর্গম প্রান্তরে। তিন দশকের বেশি সময় ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পুলিশের নিষ্ঠাবান সদস্যদের পেশাদারত্ব ও কর্মদক্ষতা বিশ্ববাসীর অকুণ্ঠ প্রশংসা অর্জন করেছে। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতেও দৃঢ় মনোবলের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের শান্তিরক্ষীগণ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, মালি, দারফুর, সুদান, সাউথ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ্ব শান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনকালে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ২৩ জন সদস্য আত্মত্যাগ করেছেন।
