সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম। ছবি : ডিএমপি

জননিরাপত্তা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে রাস্তায় সমাবেশ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম।

ডিএমপি জানায়, বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে নয়াপল্টন বা আশপাশের রাস্তায় সমাবেশ করতে ইচ্ছুক। বিএনপির এই বিভাগীয় সমাবেশে লক্ষাধিক লোকসমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপির পার্টি অফিসের সামনের রাস্তায় ১০-১৫ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা রয়েছে। বাকি লোক বিভিন্ন রাস্তায় ছড়িয়ে পড়বে, কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। ফলে জননিরাপত্তা বিঘ্নিতসহ ভয়াবহ জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হবে। এ কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা টঙ্গী ইজতেমা মাঠ, কালশী মাঠ কিংবা পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা মাঠে সমাবেশ করলে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি হবে না।

তিনি বলেন, এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক সমাবেশ হয়েছে। কিন্তু এখন রাস্তায় সমাবেশ করে জনদুর্ভোগ ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেবে।

বিশেষ অভিযান ও চেকপোস্ট সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডিসেম্বর মাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস, বড়দিনসহ একাধিক জাতীয় কর্মসূচি রয়েছে। এ কারণে ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিশেষ অভিযান ও চেকপোস্ট পরিচালিত হচ্ছে।

নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো অনুমতি ছাড়া রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান নেওয়ায় জননিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার) প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।