ছেলের গোয়ালঘর থেকে উদ্ধারের পর থানায় আয়েশা বেগম। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

আয়েশা বেগমের বয়স এখন ৮৫ বছর। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন তিনি। কিন্তু মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার এই বৃদ্ধার ছেলে আর ছেলের বউয়ের ঘরে তাঁর জন্য হয়নি একটুখানি জায়গা। তাঁর জায়গা হয়েছিল বাড়ির গোয়ালঘরে।

আয়েশা বেগমের এই খবর শুনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান পিপিএম (বার)। দ্রুত পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে উদ্ধার করেছে ওই বৃদ্ধাকে। শুধু তা-ই নয়, তাঁর সন্তানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশ জানায়, মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার সম্প্রতি জানতে পারেন, সিংগাইর থানার চারিগ্রাম ইউনিয়নের মধ্য চারিগ্রাম গ্রামের বৃদ্ধা আয়েশা বেগমকে ৬ জুন থেকে তাঁর ছেলে মো. কলম ও মোস্তফা কামাল এবং পুত্রবধূ বিলকিস আক্তার ও মর্জিনা ভরণপোষণ না দিয়ে গোয়ালঘরে রেখেছেন। পুলিশ সুপার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধা আয়েশা বেগমকে উদ্ধারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম মোল্যাকে নির্দেশ তেন।

নির্দেশ পেয়েই সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ তাৎক্ষণিক আয়েশা বেগমের ছেলে মোস্তফা কামালের বাড়িতে পুলিশ পাঠান। সেখানে মোস্তফার গোয়ালঘর থেকে আয়েশাকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়। এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশে সফিকুল ইসলাম মোল্যা বৃদ্ধাকে ব্যক্তিগতভাবে নগদ অর্থ সহায়তা করেন এবং তাঁর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ নেন। এরপর ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন, ২০১৩ অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।