খাগড়াছড়িতে এপিবিএন এবং বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারে বক্তব্য রাখছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। আজ (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২) সকালে খাগড়াছড়িতে এপিবিএন এবং বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারে পুলিশের কমান্ডো কোর্সের সন্ত্রাসবিরোধী এবং জিম্মি উদ্ধার অভিযানের মহড়া পরিদর্শনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, তাঁদের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, অপরাধ হ্রাস করা ও অপরাধী গ্রেপ্তারে বাংলাদেশ পুলিশ পেশাদারি ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান বিপিএম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

এপিবিএন এবং বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারের ফায়ারিং রেঞ্জ ও মাল্টিপারপাস শেড উদ্বোধন ও ছয়তলা বিশিষ্ট ব্যারাক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক। তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা আজ যে মহড়া প্রদর্শন করেছেন, তা নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক মানের। এ কোর্সের প্রশিক্ষকগণের দক্ষতাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের।’ তিনি প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন।

আইজিপি এপিবিএন এবং বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারের ফায়ারিং রেঞ্জ ও মাল্টিপারপাস শেড উদ্বোধন করেন। তিনি ছয়তলাবিশিষ্ট ব্যারাক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, খাগড়াছড়ি এপিবিএন এবং বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. আওরঙ্গজেব মাহবুব এবং অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিকেলে আইজিপি প্রধান অতিথি হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ লাইনসে খাগড়াছড়িস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অফিসার ও ফোর্সের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

মতবিনিময় সভায় আইজিপি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘বিগত ৫০ বছরে বিভিন্ন সেক্টরে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, শিক্ষার হার বেড়েছে। দারিদ্র্য থেকে আমরা বের হয়ে এসেছি। শিল্পে এসেছে অভূতপূর্ব সাফল্য।’

দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা পুলিশ সদস্যরা দেশের যেকোনো সংকটে বুক চিতিয়ে লড়ছেন।

অস্ত্র সরঞ্জাম পরিদর্শন করছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

করোনাকালে পুলিশ সদস্যদের অনবদ্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, করোনাকালে জীবনকে তুচ্ছ করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। তিনি দেশের প্রয়োজনে সর্বোচ্চ পেশাদারি ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় বিভিন্ন পদবির পুলিশ সদস্যরা নানা বিষয় আইজিপির সামনে তুলে ধরেন। তিনি মনোযোগ দিয়ে তাঁদের কথা শোনেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ।

আইজিপি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় নবনির্মিত লক্ষ্মীছড়ি থানা ভবন, নারী পুলিশ ব্যারাক ভবন, মানিকছড়ি থানা ভবন ও ভাইবোনছড়া পুলিশ ফাঁড়ি ভবন উদ্বোধন করেন। তিনি খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইনসে ছয়তলাবিশিষ্ট ব্যারাক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।