রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পুরাতন ভবনে নিচতলায় ওষুধ মার্কেটের একটি দোকানে অভিযান চালিয়েছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
ওই সময় প্রায় ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের সরকারি চোরাই ওষুধ, মাদকদ্রব্য প্যাথেডিন ও মরফিন ইনজেকশন এবং ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ২৪ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহী মহানগর ডিবির উপকমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কে. এম. আরিফুল হক পিপিএমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপকমিশনার ড. মো. রুহুল আমিন সরকারের নেতৃত্বে এসআই মো. মসলেম উদ্দিন ও তাঁর টিম মহানগর এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান ডিউটি করছিলেন। ওই সময় তাঁরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পুরাতন ভবনের নিচতলার একটি ওষুধের দোকানে মালিক জেনেশুনে সরকারি চোরাই ওষুধ বিক্রি করছেন। এ ছাড়া সেখানে রেজিস্ট্রেশনবিহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং সরকারি ওষুধ বোতল ও লেবেল পরিবর্তন ও মোড়কজাত করে বিক্রি ও বাজারজাত করছেন।
ওই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ডিবির ওই টিম বিষয়টি ওষুধসংক্রান্ত হওয়ায় জেলা কার্যালয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর রাজশাহীকে অবগত করে। একই সঙ্গে রাজপাড়া থানা-পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মেসার্স নাজমুল ড্রাগস অ্যান্ড সার্জিক্যাল নামক ওষুধের দোকানে উপস্থিত হলে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়া (৬২) কৌশলে পালিয়ে যান। ওই সময় দোকান তল্লাশি করে বিভিন্ন রকম প্রায় ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের সরকারি চোরাই ওষুধ, মাদকদ্রব্য প্যাথেডিন ও মরফিন ইনজেকশন এবং ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
