সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার)। ছবি: ডিএমপি

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার) বলেছেন, শুধু মোবাইল চোরকে নয়, চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রেতাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।

১৫৮ টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধারের পর বুধবার (১৮ মে) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, সম্প্রতি মোবাইল ফোন চুরি বা টান মেরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। পুলিশের কাছে যে অভিযোগগুলো আসে, সেগুলো উদ্ধার করা হয় এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু কিছুদিন পর তাঁরা জামিনে বেরিয়ে পুনরায় একই কাজে লিপ্ত হন। কারণ, চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রি করতে পারায় আসামিরা এ কাজে উৎসাহ পান। এজন্য যাঁরা চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রি করবেন, তাঁদেরও প্রচলিত আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হবে।

চোরাই মোবাইল বিক্রির প্রক্রিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, চুরি হওয়া মোবাইলগুলো তিন বার হাত বদল হয়। প্রথমত, যিনি চুরি করেন, তিনি টেকনিশিয়ান বা কোনো চোরাই মোবাইল ফোন ক্রেতার কাছে বিক্রি করে দেন। ফোনের পার্সওয়ার্ড বা ফাইন্ড ইউর ফোন অপশন চালু থাকলে ফোনের ডিসপ্লে ও কেসিং বিক্রি করে দেন টেকনিশিয়ান বা চোরাই ফোন ক্রেতা। আর এসব অপশন চালু না থাকলে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে বিক্রি করে দেন। আইফোন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং অন্য ফোন ১৫-২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তাঁরা।

চোরাই মোবাইল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ডিবিপ্রধান বলেন, পুরনো মোবাইল ফোন বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি নেই কিন্তু ব্যবসায়ীদের কাছে চোরাই মোবাইল থাকলে গ্রেপ্তার করা হবে।

মোবাইল ফোন চুরি প্রতিরোধে জনসাধারণকে রাস্তাঘাটে চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্ক থেকে চলাচলের অনুরোধ করেন তিনি। এ ছাড়া পাবলিক পরিবহনে চলাচলের সময় কথা বলার প্রয়োজন হলে গাড়ির ভেতরের দিকে মোবাইল রেখে কথা বলার পরামর্শ দেন ডিবির এই কর্মকর্তা।

উদ্ধার করা চোরাই মোবাইল ফোন। ছবি: ডিএমপি

গত ২৯ এপ্রিল রাজধানীর উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে এক ব্যক্তির একটি আইফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় গত ১৬ মে তিনি উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটির ছায়া তদন্ত করে রাজধানীর মোতালেব প্লাজা থেকে চুরি হওয়া মোবাইল ফোনসহ আরও ১৫৭ টি চোরাই মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ ও এক লাখ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।