রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে আয়োজিত পুনাকের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে একজন রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এবং স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থা (ডাস) যৌথ উদ্যোগে চক্ষু চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিনা মূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছে।

আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর ) দিনব্যাপী রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিনা মূল্যে চক্ষু চিকিৎসা, লেন্সসহ ছানি অপারেশন-সংক্রান্ত সেবা দেওয়া হয়।

দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থা (ডাস) এর চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুনাক সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাস-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক লায়ন ডা. মো. শাহীন রেজা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে পুনাকের সাধারণ সম্পাদিকা নাসিম আমিন অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন।

রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে আয়োজিত পুনাকের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে একজন রোগীর চোখ পরীক্ষা করা হচ্ছে। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুনাক সভানেত্রী বলেন, চোখ হচ্ছে মানবজীবনের অমূল্য সম্পদ। সৃষ্টিকর্তা আমাদের অনেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়েছেন, তার মধ্যে চোখ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিন্তু অজ্ঞতা, অসাবধানতাবশত সময়মতো চিকিৎসা না করানোর কারণে আমরা অনেকে এ অমূল্য সম্পদ হারিয়ে ফেলি। তাই এ ক্ষেত্রে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিবছর অন্তত একবার চোখের ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন।

তিনি বলেন, চোখের চিকিৎসা নিয়ে ডাস বাংলাদেশের অনেক জায়গায় কাজ করছে। পুনাক ডাসের সাথে চোখের চিকিৎসায় এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তা ছড়িয়ে দিতে চাই। তিনি এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

পুনাক সভানেত্রী বলেন, পুনাক নিজস্ব কার্যক্রমের বাইরে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে ‌নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও কল্যাণমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে আয়োজিত পুনাকের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে পুনাক সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী ও অন্যরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

পুনাকের স্বাস্থ্য সম্পাদিকা ডা. প্রথমা রহমান ও দপ্তর সম্পাদিকা রোকসানা পারভীন এবং তাঁদের টিম এ অনুষ্ঠান আয়োজনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।

ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে ১০ জন চিকিৎসক ২৫০ জনের বেশি রোগীকে বিনা মূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসেবা দেন।