চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা-পুলিশের অভিযানে ইমো প্রতারক চক্রের গ্রেপ্তার তিন আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

চুয়াডাঙ্গায় জীবননগর থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইমো প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এই চক্র ইমো আইডি হ্যাক করে নকল কণ্ঠ দিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গ্রেপ্তার তিন আসামির নাম মো. নাহিদ(২৬), মো. আমিরুল ইসলাম (৬০) ও হারুন-অর রশিদ (২৩)।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানার উথলী আমতলাপাড়ার ভুক্তভোগী ফকির মোহাম্মদ (৭২) জীবননগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন যে তিনি পল্লী বিদ্যুৎ এরিয়া অফিসে নাইট গার্ডের চাকরি করেন। তাঁর ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম দুবাইপ্রবাসী। ছেলের সঙ্গে ইমোতে কথা বলেন। তাঁর ছেলের ইমো আইডি অজ্ঞাতনামা হ্যাকাররা হ্যাক করে কণ্ঠ নকল করে তাদের জানায় যে সে দুবাইতে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করছে। সেখানে টাকা লাগবে। এভাবে ফকির মোহাম্মদসহ পরিবারের সদস্যদের বোকা বানিয়ে কৌশলে আটটা বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে গত ২৫ অক্টোবর বিকেল থেকে ২৬ অক্টোবর দুপুরের মধ্যে মোট ৫ লাখ টাকা সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র হাতিয়ে নিয়েছে।
ওই জিডির পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তের সময় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও বিকাশ স্টেটমেন্টের ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের কয়েকজনকে সনাক্ত করা হয়। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের দুই সদস্য নাহিদ ও আমিরুলকে গ্রেপ্তার করে জীবননগর থানা-পুলিশ। এ ছাড়া জীবননগর থানার উথলী গ্রামে অভিযান চালিয়ে চক্রের আরেক সদস্য হারুনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রের অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।