নিজেদের যুদ্ধবিমানের বহর শক্তিশালী করল পাকিস্তান। ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের কাছ থেকে দেশটি জে-১০সি মডেলের ২৫টি যুদ্ধবিমান কিনেছে। সম্প্রতি ফ্রান্সের কাছ থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছে ভারত। এরপর পাকিস্তানের এই যুদ্ধবিমান কেনার খবর জানা গেল।

ইকোনমিক টাইমসের বরাত দিয়ে প্রথম আলোর খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।

চীন থেকে এসব যুদ্ধবিমান পাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ।

শেখ রশিদ আহমেদ গতকাল বুধবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী রাওয়ালপিন্ডিতে গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসের অনুষ্ঠানের কুচকাওয়াজে যুদ্ধবিমানগুলো দেখানো হবে। জে-১০সি মডেলের এ যুদ্ধবিমান সব ধরনের আবহাওয়ায়, বিশেষ করে রাতে, অভিযানের জন্য উপযোগী করে তৈরি।

চীনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বহরে থাকা যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আস্থা রাখার মতো একটি হলো জে-১০সি মডেলের এই যুদ্ধবিমান।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ২৩ মার্চ প্রথমবারের মতো পাকিস্তান দিবসের আয়োজনে কিছু খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন। তখন জে-১০ মডেলের যুদ্ধবিমানের মহড়া হবে।’ ভারতের রাফাল কেনার প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাকিস্তান বিমানবাহিনী এই মহড়া চালাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

গত বছর চীনের সঙ্গে সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে যুদ্ধবিমান পেল পাকিস্তান। তখন পাকিস্তানি বিশেষজ্ঞরা জে-১০সি কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।

দুই দেশের মধ্যে ২০ দিনের এই সামরিক মহড়া শুরু হয়েছিল গত ৭ ডিসেম্বর।

সামরিক মহড়ার জন্য জে-১০সি ছাড়াও জে-১১বি, কেজে-৫০০ যুদ্ধবিমান এবং ওয়াই-৮ ইলেকট্রিক যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল চীন। অন্যদিকে, জেএফ-১৭ ও মিরেজ-৩ যুদ্ধবিমান নিয়ে এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল পাকিস্তানের বিমানবাহিনী।

পাকিস্তানের বহরে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে। এফ-১৬–কে ফ্রান্সের রাফালের মতোই সমান শক্তিশালী মনে করা হয়। কিন্তু ফ্রান্সের কাছ থেকে ভারত রাফাল কেনার পর পাকিস্তান বহুমুখী কাজে লাগানো যায়—এমন একটি যুদ্ধবিমান কেনার চেষ্টা করছিল। তারই অংশ হিসেবে চীন থেকে জে-১০সি কিনল।