অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে দেশটিকে সতর্কতা জানাতে জাপান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা ২৪ মে টোকিওতে বৈঠকে মিলিত হন। এই বৈঠকে চীনকে মোকাবিলায় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। খবর বাসসের।

কোয়াড (কোয়াড্রিলিটারেল সিকিউরিটি ডায়ালগ) নামে পরিচিত গ্রুপের শীর্ষ এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন।

কোয়াড সম্মেলনের শুরুতেই বাইডেন বলেন, ‘এটি গণতন্ত্র বনাম স্বৈরাচার প্রশ্ন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে আমরা কী ভূমিকা পালন করব।’

চীনা সামরিক আক্রমণাত্মক তৎপরতা, নৌ মহড়া এবং মাছ ধরার জাহাজের অনধিকার প্রবেশসহ চীনের সামরিক কর্মকান্ডে আঞ্চলিক অস্থিরতা বাড়ছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকি এবং বিপজ্জনক সীমা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

সলোমন দ্বীপপুঞ্জসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য গত মাসে বেইজিংয়ের একটি বিস্তৃত নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরকে উদ্বেগের বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সপ্তাহে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ সফর করবেন। তিনি ভানুয়াতু, সামোয়া, টোঙ্গা, কিরিবাতিসহ অন্য দেশগুলোকে ওই নিরাপত্তা চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই উদ্বেগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা কোয়াড সদস্যদের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জসহ আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের কথা ‘মনোযোগ দিয়ে শোনার’ এবং ‘তাদের মুখোমুখি হওয়ার তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানে সহায়তার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে একত্রে চলা ছাড়া কোয়াড সফল হতে পারে না।’

অস্ট্রেলিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ প্রতিরক্ষা এবং সামুদ্রিক সহযোগিতা জোরদারে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর জন্য আরও সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।