রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার দুই চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা। খবর আজকের পত্রিকার।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, এই চক্র নিরিবিলি গন্তব্যে যাওয়ার জন্য দক্ষিণখানের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করত। তারপর পরিকল্পিত জায়গায় নিয়ে গলা কেটে চালকদের হত্যা করে লাশ নিরিবিলি এলাকায় ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যেত।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. খালেদ খান শুভ (২০), মো. টিপু (৩১), মো. হাসানুল ইসলাম ওরফে সান (২০), মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০), আব্দুল মজিদ (২৯) ও মো. সুমন (৩৫)। তাঁদের মধ্যে তিনজন চালকদের হত্যা করে অটোরিকশা এনে দিতেন। এরপর চক্রের অপর সদস্যরা অটোরিকশা বিক্রি করতেন।

রাজধানী ঢাকা ও মৌলভীবাজারে অভিযান চালিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু, পাথরসহ তাঁদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি নিহত এক চালকের ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন ও অটোরিকশা উদ্ধার করা হয় বলে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভয়ংকর এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে চালকদের হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করছিল। ডিসেম্বরে পরপর দুই চালক হত্যা ও অটোরিকশা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

হারুন বলেন, ‘৮ ও ২৫ ডিসেম্বর দুটি ভিন্ন ঘটনায় একই কায়দায় মোস্তফা (৩৫) ও জিহাদ (১৫) নামের দুই চালকের অটোরিকশা ভাড়া করেন টিপু, হাসান ও শুভ। মোস্তফাকে আশিয়ান সিটি ও জিহাদকে পূর্বাচল এলাকায় নিয়ে হত্যা করা হয়। একইভাবে দুজনের মরদেহ নির্জন এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়।

ডিবির সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নিহত মোস্তফার বৃদ্ধা মা সামছুন্নাহার বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর রাত ১১টায় তাঁর ছেলের সঙ্গে সর্বশেষ ফোনে কথা হয়। ফোন রাখার আগে পরদিন সকালে তিনি বাসায় আসবেন বলে জানিয়েছিলেন।

মোস্তফার মা আরও বলেন, ‘নিখোঁজ হওয়ার ১১ দিনের মাথায় ফোন আসে, আমার মেয়ের জামাইয়ের কাছে আশিয়ান সিটি নামে একটি জায়গায় আমার ছেলের লাশ পায়। আমি এখন কার কাছে যাব!’