পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

ঢাকার কেরানীগঞ্জে চালক আব্দুর হক আকনকে (২৫) খুন করে তাঁর অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূল হোতা মো. মোরশেদ আলম (৪৫) ও আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই ঢাকা।

১৮ জুন সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থানাধীন রায়েরবাজার (বাগানবাড়ী) এলাকায় আসামির ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে, ছিনতাই হওয়া অটোরিকশার মোটর, রিকশা প্যাডেল এবং ৪টি ব্যাটারি উদ্ধারসহ হত্যাকাণ্ডের সহযোগী অপর দুই আসামি মাসুদ (৩৮) ও দেলুয়ারকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়।

ভিকটিম আব্দুল হক আকন (২৫) ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন রায়েরবাজার (বাগানবাড়ী) এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

১৩ জুন দিবাগত রাতে তিনি জীবিকার তাগিদে তাঁর অটোরিকশা নিয়ে বের হন। ১৪ জুন সকাল অনুমান ৭টার সময় কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কলাতিয়া নিমতলী ব্রিজের পাশে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়।

এই ঘটনায় ভিকটিম আব্দুল হক আকনের বড় ভাই আব্দুর রব আকন (৪৪) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা-পুলিশ তদন্ত শুরু করে। থানা-পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই ঢাকা জেলা ঘটনার বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে।

পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় এবং পিবিআই ঢাকা জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদার সার্বিক সহযোগিতায় পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ পরিদর্শক মো. মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে একটি চৌকস তদন্ত টিম ঘটনার বিষয়ে ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। একপর্যায়ে ওই তদন্ত টিম তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দাবৃত্তির মাধ্যমে ঘটনার মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অটোরিকশাচালক আব্দুল হক আকনকে খুনসহ অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত আসামি মোরশেদ আলমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি মোরশেদ আলম জানান, তিনি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ভিকটিমের অটোরিকশা নিয়ে ১৪ জুন ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে কলাতিয়া নিমতলা ব্রিজের অনুমান ১০০ গজ পশ্চিম পাশে পাকা রাস্তার পাশে যান এবং নির্জন জায়গা দেখে ভিকটিমকে রড ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যান।

তাঁর দেওয়া তথ্যমতে, লালবাগ থানাধীন আজিমপুর বড় দায়রা শরীফের মালিক দেলোয়ার হোসেনের হেফাজত থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশার মোটরসহ দুটি প্যাডেল এবং হাজারীবাগ থানাধীন শিকারীটোলা এশিয়ান মার্কেটের “এ এম এন্টারপ্রাইজ” এর মালিক মাসুদের হেফাজত থেকে ওই অটোরিকশার ৪টি ব্যাটারি উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়েছে।

হত্যার ঘটনায় জড়িত ওই দিন রাত ৭টার সময় আজিমপুর বড় দায়রা শরীফের মালিক দেলোয়ার হোসেনকে এবং হাজারীবাগ থানাধীন শিকারীটোলা এশিয়ান মার্কেটের “এ এম এন্টারপ্রাইজ” এর মালিক মাসুদকে কামরাঙ্গীরচর নয়াগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।