চট্টগ্রাম আদালত ভবনের মূল ফটকের সামনে পুলিশের চেকপোস্টে বোমা হামলার মামলায় এক জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড ও অন্যজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে জাবেদ ইকবাল ওরফে মোহাম্মদকে।

আজ রোববার চট্টগ্রাম সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য। খবর প্রথম আলো ও জাগো নিউজের।

আদালত সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত পুলিশের চেকপোস্টে বোমা হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। এতে পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও বিচারপ্রার্থী ফুটবলার শাহাবুদ্দীন আহমদ নিহত হন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনোরঞ্জন দাশ বলেন, চট্টগ্রাম আদালতে বোমা হামলার মামলার রায়ে আজ আসামি জাবেদ ইকবালের যাবজ্জীবন ও পলাতক বোমা মিজানের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। জাবেদকে দণ্ডাদেশের পাশাপাশি দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

আইনজীবী মনোরঞ্জন দাশ আরও বলেন, ‘আমরা রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। কারণ, আসামি জাবেদেরও মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছিলাম। তিনি নিজেই হামলার বিষয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে আদালত তাঁর সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চ আদালতে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

আজ মামলার রায় ঘোষণার সময় জাবেদ ইকবাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর মিজান ভারতে গ্রেপ্তার হয়ে সেখানকার একটি কারাগারে আছেন।

চট্টগ্রাম আদালতে বোমা হামলার ঘটনায় নগরের কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তৎকালীন নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক হ্লা চিং প্রু ২০১৬ সালের ১৮ মে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। একই বছরের ১৬ জুলাই মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়। এরই মধ্যে অন্য একটি মামলায় ফাঁসির আদেশ হলে এ মামলা থেকে তিন আসামির নাম বাদ দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, তাঁর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই ও জেএমবির সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি।

গত ২১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত আজ (রোববার) রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন।