পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার চার চোর। ছবি-সংগৃহীত

চট্টগ্রাম থেকে ৪০ লাখ টাকার কাঁচা তুলা চুরির ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

৩০ নভেম্বর এবং ২ ডিসেম্বর পৃথক অভিযানে ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন, সদর থানা এবং চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। খবর জাগো নিউজের।

তাঁরা হলেন ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার কুঞ্জেরহাট গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. রুবেল (২৪), একই গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে মো. মুনসুর আলম মোহন ওরফে সুজন ড্রাইভার (২৭), লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার চররমিজ গ্রামের মো. মহিউদ্দিনের ছেলে মো. আমিরুল ইসলাম (২৮), চট্টগ্রামের ভুজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নের পেলারখীল গ্রামের মো. জহিরুল ইসলামের ছেলে মো. জয়নাল (২৬), নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার সোনাপুর মাস্টারবাড়ির মোস্তফা কামালের ছেলে নুরনবী শাওন (২২) এবং চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার শাহা পোয়া গ্রামের আজিজ খাঁর ছেলে মো. জাইসুল (২৩)।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান।

তিনি জানান, গত ২৪ নভেম্বর রাত ৯টায় সীতাকুণ্ড পোর্ট লিংক ডিপো থেকে আমদানি করা তুলা নারায়ণগঞ্জের ভুলতা এলাকার কারখানায় নেওয়ার পথে চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোকাম লিমিটেডের রিজিওনাল অপারেশন ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মুনিম তুলা উদ্ধারে পিবিআইয়ের সহযোগিতা চান।

তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত ৩০ নভেম্বর ভোলার বোরহানউদ্দিন থানার কুঞ্জেরহাট গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যানুযায়ী ওই দিনই ভোলা সদর থানার ইলশা ফেরিঘাট এলাকা থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত কাভার্ড ভ্যানসহ চক্রের হোতা সুজন ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১ ডিসেম্বর আবদুল্লাহ আল মুনিম বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্য চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি কাভার্ড ভ্যান, একটি কার্গো এবং ১০ বান্ডিল কাঁচা তুলা উদ্ধার করা হয় বলে জানান পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান।

তিনি বলেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আমেরিকা থেকে ৪৮ বান্ডিল কাঁচা তুলা আমদানি করে। এসব তুলার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। গ্রেপ্তার সবাই একটি চক্রের সদস্য। এর মধ্যে সুজন ড্রাইভার এর আগেও একই কায়দায় আমদানিপণ্য চুরির ঘটনা ঘটিয়েছেন। ৩০ নভেম্বর গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের ১ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ড থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়। শনিবার গ্রেপ্তার চারজনকে রোববার দুপুরে আদালতে হাজির করা হয় বলে জানান তিনি।