চট্টগ্রাম নগরীতে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানা এলাকায় এক তরুণীকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার সাত ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

সিএমপি জানায়, ওই তরুণী পরিবারের সঙ্গে রাগ করে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম চলে এসেছিলেন। পরে তিনি কুমিল্লা ফেরার চেষ্টা করলেও টাকা না থাকায় পারেননি। ৭ মে (শনিবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি সিএমপির আকবরশাহ থানার শাপলা আবাসিক এলাকায় এনআর স্টীল মিলস সংলগ্ন মীর আউলিয়া মাজার এলাকায় ক্লান্ত-ক্ষুধার্ত অবস্থায় বসে ছিলেন।

সে সময় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি ওই তরুণীকে নিজ বাড়িতে মা-বাবার সঙ্গে রাখবে এবং কাজ পাইয়ে দেবে বলে আশ্বাস দেয়। এ সময় আরও ‍দুজন অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি সেখানে যায়। তিনজনে মিলে ওই তরুণীকে পাশের পাহাড়ের পাদদেশে দেয়ালে ঘেরা একটি নির্জন নির্মাণাধীন বাড়ির ভেতরে নিয়ে নির্যালতন ও ধর্ষণ করে।

গোপন সূত্রে এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ও ভূক্তভোগীর কাছ থেকে বর্ণনা শুনে আসামিদের শনাক্ত করে পুলিশ। এরপর চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু হয়। এরই এক পর্যারয়ে ৭ মে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আকবরশাহ থানার জঙ্গল লতিফপুর পাহাড়ি এলাকা থেকে প্রথমে মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ (২৩) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আকবরশাহ থানার পাকা রাস্তার মাথা এলাকা থেকে দ্বিতীয় আসামি মো. নয়নকে (২৯) গ্রেপ্তার করা হয়। সবশেষ রাত পৌনে ১০টার দিকে সিএমপির বন্দর থানার পিসি রোড নিমতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তৃতীয় আসামি আব্দুল লতিফকে (২২)।

গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ওই তরুণীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাদের মধ্যে নয়ন ও আরিফুল গত বছর সিএমপির কোতোয়ালি থানায় অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় ও ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল। তারা পরে জামিন পায়।