চট্টগ্রামে পথচারীদের ফাঁদে ফেলে ছিনতাই ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগে এক নারী গ্যাং লিডারসহ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে বন্দর থানাধীন ধুমপাড়া সাগরপাড় মহসীন কলোনি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। খবর জাগো নিউজের।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. ফুল মিয়া (৩৯), মো. হাসান শেখ (২৮) এবং হামিদা আক্তার ওরফে রুনা (৪০)। এসময় তাদের কাছ থেকে ধারালো অস্ত্রসহ ছিনতাই করা টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদেয বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে তাদের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পাঠানো হয়েছে বলে জানান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সিনহা।
ওসি বলেন, গ্রেপ্তাররা পথচারীদের বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে মোবাইল, টাকা, মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিতেন। পরে ছিনিয়ে নেওয়ার জিনিসপত্র ফেরতের কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতেন। গ্রেফতার রুনার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় এ ধরনের চারটি মামলা রয়েছে।
বন্দর থানা সূত্রে জানা গেছে, মো. হাসান নামের এক ব্যক্তি ভ্যানগাড়িতে করে কসমেটিকস বিক্রি করেন। হাসান বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে মহানগরীর ইপিজেড সংলগ্ন কলসি দিঘীর পাড় এলাকায় একটি দোকানে পাইকারি দামে কসমেটিকস কেনার জন্য যান। কিন্তু দোকানটি বন্ধ থাকায় হাসান সেখানে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় গ্রেপ্তার হওয়া রুনা এসে নিজে কসমেটিকসের ব্যবসা করেন বলে হাসানকে ডেকে বন্দর থানার ধুমপাড়া সাগরপাড় মহসীন কলোনির একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে ফুল মিয়া ও হাসান শেখকে ডেকে নেন রুনা। ফুল মিয়া এবং হাসান শেখ ওই কক্ষে গিয়ে ভিকটিম হাসানকে ছুরি ও ক্ষুরের ভয় দেখিয়ে মারধর করেন। এসময় তার সঙ্গে থাকা আড়াই হাজার টাকা, ব্যবহৃত মোবাইল ফোন হাতের ব্রেসলেটটি ছিনিয়ে নেন তারা। এরপর মোবাইল ফোন ফেরত দেওয়ার কথা বলে আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করে তাকে ওই কক্ষ থেকে বের করে দেন।
এরপর হাসান ঘটনাটি বন্দর থানাকে জানালে পুলিশ রাত পৌনে ৯টার দিকে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
