পুলিশি হেফাজতে তিন আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

এক গৃহবধূকে (১৮) ধর্ষণের পর হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) হরিণটানা থানা-পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরে দুই বন্ধুকে নিয়ে ভুক্তভোগীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করেন তাঁর স্বামী মো. সাইদুর রহমান (২১)। এ ঘটনায় সাইদুর এবং তাঁর দুই বন্ধু মো. সোহাগ মোল্লা (২০) ও মো. শরিফুল ইসলাম তপুকে (২৬) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কেএমপি জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) খুলনা নগরীর আড়ংঘাটা থানাধীন শলুয়া বাজার থেকে প্রধান আসামিকে সাইদুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর দুই আসামি সোহাগ ও তপুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত ৪ জুলাই হরিণটানা থানাধীন রায়েরমহল আন্দিরঘাট ব্রিজের পাশের একটি আবাসিক প্রকল্প এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হরিণটানা থানায় মামলা করেন। তদন্তের এক পর্যায়ে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করে পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, সম্প্রতি ভুক্তভোগীর সঙ্গে সাইদুরের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের কারণে প্রায়ই ভুক্তভোগীকে মারধর করতেন তিনি। গত ৩ জুলাই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়িতে চলে যান ভুক্তভোগী। এ নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে সাইদুরের পরিবারের বাগবিতণ্ডা হয়। তাই প্রতিশোধ নিতে বন্ধুদের নিয়ে নিজের স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সাইদুর।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৪ জুলাই মোবাইল ফোন ও বোরকা কিনে দেওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে হরিণটানা থানাধীন আন্দিরঘাট ব্রিজের পাশের একটি আবাসিক প্রকল্প এলাকায় নিয়ে যান সাইদুর। আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাইদুরের বন্ধু সোহাগ ও তপু। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন তাঁরা। পরে গলা টিপে হত্যা করেন ভুক্তভোগীকে।

পুলিশ আরও জানান, এরই মধ্যে প্রধান আসামি সাইদুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।