গাইবান্ধায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার একটি মুহূর্ত। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

গাইবান্ধায় চলছে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগপ্রক্রিয়া। গাইবান্ধা পুলিশ লাইনসে ২৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) ছিল এই নিয়োগপ্রক্রিয়ার প্রথম দিন। এদিন সব প্রক্রিয়া নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

গাইবান্ধা পুলিশ লাইনস মাঠে চলে এই নিয়োগপ্রক্রিয়া। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

গাইবান্ধা জেলা পুলিশ জানায়, ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২৭ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা পুলিশ লাইনস মাঠে প্রথম দিনের কার্যক্রম সকাল ৮টায় শুরু হয়। শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষায় ৩ হাজার ১৮৫ জন প্রার্থী অনলাইন প্রক্রিয়ায় প্রবেশপত্র সংগ্রহ করলেও ২ হাজার ২৫ জন পুরুষ ও ৩৬৯ জন নারী প্রার্থী উপস্থিত হন। শারীরিক মাপ ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই-বাছাই শেষে পুরুষ প্রার্থীদের সাধারণ কোটায় ১ হাজার ৭৬৪ জনের মধ্যে ১ হাজার ২৩৫ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১৪৭ জনের মধ্যে ৯৩ জন, আনসার ও ভিডিপি কোটায় ২১ জনের মধ্যে আটজন, এতিম কোটায় নয়জনের মধ্যে তিনজন, পুলিশ পোষ্য কোটায় ৮০ জনের মধ্যে ৭৩ জন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় চারজনের মধ্যে তিনজন মোট ১ হাজার ৪১৫ প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে সাধারণ কোটায় ৩৩৯ জনের মধ্যে ৯২ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২০ জনের মধ্যে তিনজন, পুলিশ পোষ্য কোটায় চারজনের মধ্যে দুজন ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় চারজনের মধ্যে দুজনসহ মোট ৯৯ জন উত্তীর্ণ হন। নারী ও পুরুষ মিলে সব কোটায় মোট ১ হাজার ৫১৪ প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।
নিয়োগপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় ব্রিফিং দেওয়া হয়। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

জেলা পুলিশ আরও জানায়, নিয়োগপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অফিসার-ফোর্স নিয়োগ করা হয়েছিল। নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যাতে কেউ কোনো প্রকার অবৈধ প্রক্রিয়া বা আর্থিক লেনদেন করতে না পারে, সে জন্য জেলাব্যাপী ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। সাদাপোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
নিয়োগপ্রক্রিয়ার প্রথম দিনে শারীরিক মাপ ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ
নিয়োগপ্রক্রিয়ার প্রথম দিনে শারীরিক মাপ ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ