গরু বিক্রির সাড়ে ১৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে সাহিদুল ইসলাম (৪৫) নামে এক গরুর ব্যাপারীকে হত্যা করেছে একদল ডাকাত। হত্যার পর ট্রাক থেকে মরদেহটি নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের আঘ্রাণ এলাকায় ফেলে চলে যায় তারা। এ সময় ওই ব্যাপারীর সঙ্গে থাকা চারজনকেও পিটিয়ে আহত করে ডাকাতেরা। গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। খবর আজকের পত্রিকার।

আহত ব্যক্তিরা হলেন বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দির বলাই গ্রামের রেজাউল করিম (৬০), আব্দুস ছালাম (৭০), তাঁর ছেলে সবুজ হোসেন (৩৫) ও সোনাতলা উপজেলার সোনাকানিয়া গ্রামের ইউনুস আলী (৩০)। তাঁদের সবাইকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ব্যবসায়ী ইউনুস আলী জানান, রাজধানীর আফতাবনগর হাটে ১৬টি গরু বিক্রি করে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা নিয়ে গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বগুড়ার উদ্দেশে একটি ট্রাকে রওনা দেন সাহিদুলসহ পাঁচ ব্যবসায়ী। দীর্ঘ সময় ট্রাকটি গাজীপুরের চন্দ্রায় যানজটে আটকে থাকার পর এলাকা পার হলে ট্রাকে থাকা ছদ্মবেশী ৯ ডাকাত হঠাৎ তাঁদের পিটিয়ে হাত-পা, মুখ, চোখ বেঁধে ফেলে। মারধরের একপর্যায়ে ব্যবসায়ী সাহিদুল সেখানেই মারা যান। এ সময় তাঁদের সব টাকাপয়সা কেড়ে নেয় ডাকাতেরা।
পরে বুধবার দিনভর বিভিন্ন এলাকা ঘুরিয়ে রাতে সাহিদুলসহ পাঁচজনকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের আগ্রাণ এলাকায় একটি পেট্রলপাম্পের পাশে ফেলে দেয় ডাকাতেরা। পরে আহত ব্যাপারীরা পেট্রলপাম্পে এসে বিষয়টি জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ নিহত সাহিদুলের মরদেহ উদ্ধার করে এবং অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব জানান, নিহত সাহিদুলের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।