গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোয় বিএএনএফপিইউ-১-এর মেডেল প্যারেড অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোয় জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত ও এমওএনইউএসসিওর প্রধান বিনতু কিয়েতা, জেনারেল মডি বেরেটসহ অন্য অতিথিদের সঙ্গে বিএএনএফপিইউ-১ সদস্যরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোয় বিএএনএফপিইউ-১ মেডেল প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ নভেম্বর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত এই প্যারেডে প্রধান অতিথি হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোয় জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত ও এমওএনইউএসসিওর (ইউনাইটেড নেশনস অর্গানাইজেশন স্ট্যাবিলাইজেশন মিশন ইন দ্য ডিআর কঙ্গো) প্রধান বিনতু কিয়েতা।

বিএএনএফপিইউ-১ মেডেল প্যারেড অনুষ্ঠানে সালাম গ্রহণ করেন প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোয় জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত ও এমওএনইউএসসিওর প্রধান বিনতু কিয়েতা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

প্যারেড অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড নেশনস পুলিশ কম্পোনেন্ট (ইউএনপোল) প্রধান জেনারেল মডি বেরেট, ডিআর কঙ্গোয় সমন্বয় কার্যালয়ের সহকর্মীরাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্কের (বিপিডব্লিউএন) ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, ১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশ পুলিশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিআর কঙ্গোয় বিএএনএফপিইউ-১ কার্যক্রম শুরু করে। ২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যক্রম শুরু করা বর্তমান কন্টিনজেন্টে ১৮০ জন শান্তিরক্ষী আছেন। তাঁদের মধ্যে ৮১ জনই নারী শান্তিরক্ষী।

বিএএনএফপিইউ-১ মেডেল প্যারেড পরিদর্শন করেন প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোয় জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত ও এমওএনইউএসসিওর প্রধান বিনতু কিয়েতা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

কমান্ডিং অফিসার মেরিনা আক্তারের চৌকস নেতৃত্বে বিএএনএফপিইউ-১ মিশন এলাকায় আন্তরিকতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে এমওএনইউএসসিওর উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়ন করে চলেছে। কমান্ডার তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে বিএএনএফপিইউ-১ ওনাত্রা, এমএইচকিউ, ইউটিইএক্স-এ অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। রাজধানী থেকে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দূরে কানাঙ্গা এলাকায় সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছে বিএএনএফপিইউ-১। কিনশাসা এলাকায় নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করে এই কন্টিনজেন্ট। এখন এই কন্টিনজেন্ট ঘানবাট এলাকায় কাজ করছে। কানাঙ্গা এলাকায় বিএএনএফপিইউর চিকিৎসা কর্মকর্তারা চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।

ফেসবুক পোস্টে আরও জানানো হয়, কমান্ডার তাঁর বক্তব্যে যেসব জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করায় তিনি কন্টিনজেন্টের সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানান।

১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলায় দেওয়া ভাষণে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের কথা দৃঢ়কণ্ঠে ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘শান্তির সংস্কৃতি’ নামে পরিচিত জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবনাকে এগিয়ে নিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

একেবারে শুরু থেকে বিএএনএফপিউ-১ অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে জাতিসংঘ পুলিশ কম্পোনেন্টকে সহযোগিতা থেকে শুরু করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন পর্যন্ত সব দায়িত্ব পালন করেছে। বিগত ১৫ মাসে তারা সংঘাতময় অঞ্চলের সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চলেছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে চলমান কোভিড-১৯ মহামারিও রয়েছে।