ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে খুলনায় বসবাসরত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ম্যালকম আরনল্ডের খোঁজখবর নেন পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা। ছবি: কেএমপি

১৯ বছর আগে বাগেরহাটের রামপালের পেড়িখালীর হালিমা বেগমকে বিয়ে করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ম্যালকম আরনল্ড। সেই থেকে বাংলাদেশকেই ঘর বানিয়েছেন তিনি।

৪৮ বছর বয়সী হালিমাকে নিয়ে বর্তমানে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানার সোনাডাঙ্গা মাদ্রাসা রোডের লাভলু সাহেবের বাড়িতে থাকেন ৭৪ বছর বয়সী আরনল্ড। বাংলাদেশি স্ত্রীকে নিয়ে এ দেশের একজন হয়ে যাওয়া আরনল্ড অসুস্থ হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে অসহায় জীবনযাপন করছেন।

অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া এ ব্যক্তির অসুস্থতা নিয়ে গত বছরের নভেম্বরে একটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে আসে বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জার। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আরনল্ডের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সেই প্রত্যয় থেকে শনিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে ভিডিও কনফারেন্সে খুলনায় অবস্থানরত আরনল্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পুনাক সভানেত্রী। ওই সময় ম্যালকম আরনল্ডের শারীরিক অবস্থাসহ সার্বিক বিষয়ের খোঁজখবর নেন তিনি। পাশাপাশি আর্থিক ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে পাশে থাকার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন।

পুনাক সভানেত্রী ম্যালকম আরনল্ডকে নিজ জন্মভূমি ছেড়ে বাংলাদেশকে ভালোবেসে বসবাস করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

ভিডিও কনফারেন্সে পুনাক সভানেত্রীর পক্ষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা অসুস্থ অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ম্যালকম আরনল্ডকে দেখতে তাঁর বর্তমান ঠিকানা সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন সোনাডাঙ্গা মাদ্রাসা রোড লাভলু সাহেবের বাড়িতে উপস্থিত হন। ওই সময় তিনি ম্যালকম আরনল্ডের আঁকা দুটি চিত্রকর্ম কেনেন।

খুলনায় বসবাসরত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ম্যালকম আরনল্ডের পাশে কেএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টরা। ছবি: কেএমপি

কেএমপি কমিশনারের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এস এম ফজলুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (এঅ্যান্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম বিপিএম, উপকমিশনার (সদর) মোহাম্মদ এহসান শাহ, অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) সোনালী সেন পিপিএম-সেবা এবং সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক।

এর আগে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জার পক্ষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এস এম ফজলুর রহমান অসুস্থ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ম্যালকম আরনল্ডকে দেখতে যান।

ওই সময় তিনি ম্যালকমের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী এক মাসের সব ওষুধ কিনে দেন। একই দিন আরনল্ডের আঁকা একটি চিত্রকর্মও কেনেন তিনি।