(বাঁ দিক থেকে) বিপুল চাকমা, রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা, সুনীল ত্রিপুরা ও লিটন চাকমা। ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউপিডিএফের ৪ জনকে গুলি করে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। পানছড়ি থানার ওসি শফিউল আজম আজ মঙ্গলবার সকালে বলেছেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চারজন নিহত হওয়ার ঘটনা জানিয়েছেন। আমরা সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

পানছড়ির লোগাঙয়ের অনিল পাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে ওই হামলা হয় বলে জানিয়েছেন ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা। তিনি বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) সেখানে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উদ্যোগে যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনে যোগ দিতে ওই চারজন সেখানে অবস্থান করছিলেন। রাতে তাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়।

নিহতরা হলেন ইউপিডিএফ-সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিনসা ত্রিপুরা। এ ছাড়া ইউপিডিএফ নেতা হরি কমল ত্রিপুরা ও নীতি দত্ত চাকমা নিখোঁজ রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাংগঠনিক কাজে বিপুল চাকমাসহ ৭ জন নেতা-কর্মী সোমবার লোগাঙ এলাকায় ছিলেন। তারা রাতে অনিল পাড়া গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। রাত আনুমানিক ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সশস্ত্র দুর্বৃত্ত দল ওই বাড়িতে ঢুকে চারজনকে হত্যার পর দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।

নিহত বিপুল চাকমার বাড়ি চেঙ্গী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের করল্যাছড়ি বুদ্ধধন পাড়ায়, সুনীল ত্রিপুরার বাড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের সুরেন্দ্র রোয়াজা হেডম্যান পাড়ায়, লিটন চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের দ্রোণাচার্য্য কার্বারি পাড়ায় এবং রুহিন বিকাশ ত্রিপুরার বাড়ি পানছড়ির উল্টাছড়ি ইউনিয়নের পদ্মিনী পাড়ায়।

এ ঘটনার জন্য গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন ইউপিডিএফ নেতা অংগ্য মারমা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সভাপতি শ্যামল চাকমা বলেছেন, পাহাড়ে বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে, তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে।