পুলিশি হেফাজতে আসামি ওবায়দুল্লাহ ওরফে ওবাই শেখ। ছবি: পুলিশ নিউজ

খুলনার দিঘলিয়া থানা এলাকায় শিশু তামিম মোল্লা (৭) হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৯ মাস পর আসামি ওবায়দুল্লাহ ওরফে ওবাই শেখকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আসামি দিঘলিয়া থানা এলাকার লাখোহাটি গ্রামের বাসিন্দা।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি ওবাই শেখ।

পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শিশু তামিম মোল্লা মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। রাত সাড়ে ৮টায় তামিম ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি ও মাইকিং করেন। পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি লাখোহাটি গ্রামের গোয়ালাবাদ বিলের ভেতর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তামিমের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তামিমের মা জাহানারা বেগম কলি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। দিঘলিয়া থানা-পুলিশ ওই সময় দুজনকে আটক করলেও মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি। থানা পুলিশের তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

ভুক্তভোগী শিশু তামিম। ছবি: পুলিশ নিউজ

পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিশ্বাসকে। তদন্তের একপর্যায়ে ১৬ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে সন্দেহভাজন আসামি ওবায়দুল্লাহ ওরফে ওবাই শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামি জানান, ঘটনার দিন আসামিসহ অন্যরা স্কুল মাঠে ফুটবল খেলছিলেন। ওই সময় ভুক্তভোগী তামিম মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। ঢিল ছুড়লে আসামি ওবাই বিলের দিকে দৌড় দেন। এ সময় ভুক্তভোগী তামিমও আসামির পিছু নেয়। বিলে পৌঁছার একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে বলাৎকার করার জন্য মুখ চেপে ধরে কাপড় খুলে ফেলেন আসামি। বাধা দিলে পার্শ্ববর্তী বিলের পানিতে শ্বাসরোধ করে ভুক্তভোগীকে হত্যা করেন আসামি। পরে ভুক্তভোগীর মুখের মধ্যে কলাপাতা ঢুকিয়ে হাত-পা বেঁধে ডোবায় ফেলে দেন।