সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

শেরপুর সদর থানা-পুলিশের তৎপরতায় একটি ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি জব্দ করা হয়।

মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন মো. ওয়াসিম মিয়া (৩৪), মো. জসিম মিয়া (৩৬), মো. জিয়া আলী (৩৮), মো. আলম মিয়া (২৮) ও মো. ফয়সাল মিয়া (২৫)। তাঁদের বাড়ি সদর থানাধীন প্রতাবিয়া গ্রামে।

পুলিশি হেফাজতে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

শুক্রবার (৫ মে) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম জানান, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে সদর থানাধীন বাজিতখিলা ইউনিয়নের প্রতাবিয়া পূর্বপাড়ার একটি পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি জব্দ করা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, গত ১৯ জানুয়ারি রাতে খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হন ভুক্তভোগী রফিক মিয়া (৫৫)। পরের দিন ২০ জানুয়ারি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে খবর পেয়ে প্রতাবিয়া পূর্বপাড়া থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার।

তিনি আরও জানান, তদন্তের একপর্যায়ে সন্দেহভাজন হিসেবে ওই পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালত দুই আসামিকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে ওই পাঁচজনের সম্পৃক্ততার তথ্য মেলে। কিন্তু পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। তবে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় তাঁদের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে। পরে তাঁদের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জেলা পুলিশের প্রধান জানান, পরবর্তী সময়ে পাঁচ আসামিকে জেলগেটে এক দিনের জন্য জিজ্ঞাসবাদের অনুমতি দেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রিমান্ড আবেদন করলে আসামিদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ সময় আসামিরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি জানান, আগের একটি মামলার বিষয়ে আলোচনার কথা বলে ডাকেন এনে রফিককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। উদ্দেশ্য ছিল প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো। হত্যার পর চাপাতিটি পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেন আসামিরা।

পুলিশ সুপার জানান, আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই পুকুর থেকে চাপাতিটি জব্দ করা হয়। রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।