পুলিশি হেফাজতে এক আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

লোহাগড়ায় ক্লুলেস মো. আলমগীর হোসেন (৫৪) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে নড়াইল জেলা পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছোট ভাই ও তাঁর স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁরা।

নড়াইলের পুলিশ সুপার মোসা. সাদিরা খাতুন জানান, গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) ও রোববার (২৯ অক্টোবর) লোহাগড়া থানা এলাকা থেকে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন মো. খায়রুজ্জামান ফকির (৪৯) ও তাঁর স্ত্রী কানিজ ফাতিমা (৩৫) এবং লাশ গুমে সহায়তাকারী ইয়ার আলী সরকার। অপর আসামি ফয়সাল পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ সুপার জানান, ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর লোহাগড়া থানাধীন কোটাকোল গ্রাম সংলগ্ন একটি বিল থেকে ভুক্তভোগী আলমগীরের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর ভাই মো. কামরুজ্জামান। হত্যাকাণ্ডের সাত মাস পর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসে। প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কে এম তৌফিক আহমেদ টিপু জানতে পারেন, ভুক্তভোগীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তের এক পর্যায়ে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ সুপার জানান, ভুক্তভোগী আলমগীর খুলনায় এলজিইডি অফিসের একটি প্রজেক্টে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর বাড়িতেই ছিলেন তিনি। ওই রাতে অসৎ উদ্দেশ্যে ছোট ভাই খায়রুজ্জামানের স্ত্রী কানিজ ফাতিমাকে স্পর্শ করেন আলমগীর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আলমগীরকে গলা টিপে হত্যা করেন খায়রুজ্জামান এবং তাঁর স্ত্রী ফাতিমা ও ছেলে ফয়সাল। রাতেই পাশের একটি বিলে লাশ ফেলে আসেন তাঁরা।

পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামি খায়রুজ্জামান ও ইয়ার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।