জব্দ করা ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন। ছবি : ডিএমপি নিউজ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচায় প্ররোচনা ও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচার অপরাধে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন মো. মেহেদী হাসান, মো. সোহরাব হোসেন ও মো. মখদুম নবীন। খবর ডিএমপি নিউজের।

ডিবি সাইবারের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সূত্রে জানানো হয়, বিভিন্ন অনলাইন মনিটরিংয়ের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কয়েকটি গ্রুপ এবং পেজ দেখা যায়। যেসব পেজে তারা সাধারণ মানুষকে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা কেনাবেচার জন্য উৎসাহিত করছে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনে প্রচুর মুনাফা হয় বলে প্রচার করছে। এমন সূত্রের ভিত্তিতে প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। পরে সোমবার (১ আগস্ট) রাত ২টা ৪০ মিনিটের দিকে বগুড়ার আদমদীঘি এলাকা থেকে মেহেদী, সোহরাব ও নবীন নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তাঁদের কাছ থেকে ভার্চুয়াল মুদ্রা কেনাবেচায় ব্যবহৃত ৭টি মুঠোফোন ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।

মামলার প্রাথমিক তদন্ত সম্পর্কে পুলিশ জানায়, ক্রিপ্টোকারেন্সি কাজে ব্যবহৃত তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সর্বশেষ ৩ বছরে ১২ কোটি ৭৮ লাখ ৫৯ হাজার ৪০৭ টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাদের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট পর্যালোচনা করে সর্বশেষ ৩ মাসে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৩২ হাজার ৬৩৫ টাকার বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোর অনুসন্ধান চলছে।

রমনা মডেল থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।