ডিবি পুলিশের অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার শহিদুল্যা রাসেল। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে একজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অপরজন একটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। দুজনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন মো. শহিদুল্যা রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল (২৯)। সে স্থানীয়ভাবে সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। গ্রেপ্তার অপরজন হলেন কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ওরফে শাহীন চৌধুরী।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত দুইটার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার লোহারপোল নামের স্থান থেকে শহিদুল্যাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। শহিদুল্যা ওই সময় ছদ্মবেশ নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁর কাছ থেকে একটি এলজি, একটি লোহার তৈরি পাইপগান ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৫টি মামলা পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা। দুটি মামলা রয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।

কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশ ৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে অভিযান চালিয়ে মুছাপুর ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে তিনটি মামলা বিস্ফোরক আইনে ও দুটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা হয়েছে।