চীনে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দৈনিক কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের নতুন রেকর্ড হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বিদেশ থেকে আগত রোগী বাদ দিয়ে বৃহস্পতিবার চীনে স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত ৩২ হাজার ৬৯৫ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৪৪৪ জন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

শনাক্তদের মধ্যে ৩ হাজার ৪১ জনের দেহে কোভিডের উপসর্গও মিলেছে। ২৯ হাজার ৬৫৪ জন উপসর্গহীন। চীনে শনাক্ত রোগীদের এই দুই ক্যাটাগরিতে হিসাব করা হয়।

দেশটিতে এখন দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুয়াংজু এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের চংকিংয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। বড় প্রাদুর্ভাব সুদূরপ্রসারী হওয়ায় কর্তৃপক্ষও এই দুই শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা নিয়ে চিন্তিত।

এর বাইরে চেংদু, জিনান, লানঝু, জিয়ান ও উহানের মতো শহরগুলোতেও প্রতিদিন কয়েক শ করে রোগী শনাক্ত হচ্ছে।

আগের দিনের চেয়ে চার গুণ বেড়ে বৃহস্পতিবার শিজিয়াজুয়াং শহরে ৩ হাজার ১৯৭ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

রাজধানী বেইজিংয়েও এদিন উপসর্গসহ ৪২৪ এবং উপসর্গহীন ১ হাজার ৪৩৬ রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে। আগের দিন উপসর্গসহ ৫০৯ এবং উপসর্গহীন ১ হাজার ১৩৯ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছিল।

প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতির দেশটিকে এখন বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিধিনিষেধ জারি করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বৃহস্পতিবারের নতুন স্থানীয় কোভিড-১৯ সংক্রমণের রেকর্ড মধ্য-এপ্রিলের রেকর্ড ভেঙেছে, যখন চীনের বাণিজ্য কেন্দ্র সাংহাই শহরজুড়ে দেওয়া লকডাউনে অচল হয়ে পড়েছিল।

তখন আড়াই কোটি বাসিন্দার শহরটি দুই মাস ধরে লকডাউনে ছিল।

বৃহস্পতিবার সাংহাইয়ে ৯ জনের দেহে কোভিডের উপসর্গ পাওয়া গেছে। শনাক্ত ৭৭ রোগীর দেহে উপসর্গ পাওয়া যায়নি। আগের দিনও শহরটিতে উপসর্গসহ ৯ রোগী শনাক্ত হয়েছিল, উপসর্গহীন শনাক্ত রোগী ছিল ৫৮।

দক্ষিণের প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ বাসিন্দার শহর গুয়াংজুতে বৃহস্পতিবার স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত এবং উপসর্গধারী ২৫৭ রোগী শনাক্ত হয়েছে; উপসর্গহীন রোগী মিলেছে ৭ হাজার ২৬৭ জন। আগের দিন শনাক্ত ৪২৮ জনের দেহে উপসর্গ মিলেছিল, উপসর্গহীন শনাক্ত ছিল ৭ হাজার ১৯২ জন।

প্রায় একই রকম পরিস্থিতি চংকিংয়েরও। শহরটিতে বৃহস্পতিবার উপসর্গসহ ২৫৮ এবং উপসর্গহীন ৬ হাজার ২৪২ রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৪০৯ ও ৭ হাজার ৪৩৭।