পুলিশি হেফাজতে ডাকাতদলের সদস্যরা। ছবি: পুলিশ নিউজ

গত ৮ মার্চ দিবাগত রাতে কেরাণীগঞ্জে সিরিজ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। অস্ত্রধারী সংঘবদ্ধ ডাকাতদল পরপর তিন বাড়িতে ডাকাতি করে। এ সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ডাকাতদল। এ ঘটনায় গত ১০ তারিখ ভুক্তভোগীরা তিনটি মামলা দায়ের করেন। এরপর তদন্তে নেমে প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতির রহস্য উদ্ঘাটন করে পুলিশ। পরে ঢাকা মহানগর ও মাদারীপুর জেলাসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতদলের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সর্দার মো. জিয়া মোল্লা (৪২), মাস্টার বাবু (৩০), টুটুল মৃধা (৪৫), শরীফুল ইসলাম (৩০), জাকারিয়া (২৬), মো. বাবুল (৩০), সাইফুল ইসলাম (২৩) ও রাশেদুল ইসলাম ওরফে বিটু (২৬)।

পুলিশ জানায়, গত ৮ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন বড় রাস্তা গ্রামের নজরুল ইসলামের বাড়িতে দরজা ভেঙে প্রবেশ করে ডাকাতদল। পরে বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর রাত ২টার দিকে বটতলী গ্রামের হাসিয়া বেগমের বাড়িতে গ্রিল কেটে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার ডাকাতি তাঁরা। রাত ৩টার দিকে পুরাতন শাহাপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের বাড়ির বারান্দার গ্রিল কেটে স্বর্ণালংকার, টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায় আসামিরা। মামলা দায়েরের পর দ্রুত তদন্ত করে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতি করতে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। ডাকাতদলের পলাতক সদস্যদের গ্রেতার এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।