খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার (ডিবি) খন্দকার লাবনীর (৪০) মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন)।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিআইজি (প্রটেকশন অ্যান্ড প্রটোকল) ও বিপিডব্লিউএনের সভাপতি আমেনা বেগম স্বাক্ষরিত এক শোক বার্তায় বলা হয়, খন্দকার লাবনী অত্যন্ত দক্ষ, চৌকস, সাহসী ও মেধাবী অফিসার ছিলেন। বাংলাদেশ পুলিশের একজন দক্ষ ও প্রতিভাবান কর্মকর্তাকে হারিয়ে আমাদের অপূরনীয় ক্ষতি সাধিত হল। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্বামী ক্যানসারে আক্রান্ত রয়েছেন। কিছু দিন আগে তিনি তাঁর স্বামীকে ভারত থেকে চিকিৎসা করিয়ে আনেন। তাঁর স্বামীর চিকিৎসা চলমান আছে। তাঁর একটি কন্যা সন্তান শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাঁর স্বামীর অসুস্থতা, চিকিৎসার খরচ, বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। পারিবারিক সমস্যা এবং মানসিক বিপর্যস্ততার কারণেই তিনি আত্মহনের পথ বেছে নেন বলে জানা যায়। তাঁর এই প্রয়াণে আমরা বিপিডাব্লিউএনের প্রতিটি সদস্য গভীর মর্মাহত ও শোকাহত।

মৃত্যুকালে খন্দকার লাবনী পরিবারের অন্যান্য সদস্যেদের পাশাপাশি দুইটি শিশু কন্যা সন্তান ও ক্যান্সারে আক্রান্ত অসুস্থ স্বামী রেখে গেছেন। তাঁর এ মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। মহান আল্লাহর কাছে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

লাবনীর বাবার নাম খন্দকার শফিউল আজম, মা- নাজনীন দেলোয়ার, স্বামী- তারেক আবদুল্লাহ (এডি বাংলাদেশ ব্যাংক)। বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর থানাধীন সারঙ্গদিয়া গ্ৰামে।

বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক একটার দিকে লাবনী খন্দকার তাঁর নানা মোল্যা আনিচুর রহমানের বাড়িতে ছুটিতে থাকাকালীন সবার অজান্তে আত্মহত্যা করেন। তিনি ৩০তম বিসিএস (পুলিশ) এর একজন সদস্য।