উদ্ধার করা মোটরসাইকেল ও মোটরসাইকেল চুরির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চুরির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিসহ আন্তজেলা ও আন্তবিভাগীয় চোর চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন রাসেল আহমদ (২৮), জুনেদ আহমদ (২৩) ও জাহাঙ্গীর মিয়া (৩০)।

আজ শুক্রবার কুলাউড়া থানা আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ঘোষ এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে কুলাউড়া থানা এলাকাসহ আশপাশের এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কুলাউড়া থানাধীন মাগুরা এলাকায় সাংবাদিক সঞ্জয় দেবনাথের মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় কুলাউড়া থানায় একটি মামলা হয়।

এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে।

অভিযান চালানোর সময় প্রথমে আন্তজেলা ও আন্তবিভাগীয় মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যদের মধ্যে অন্যতম চোর কমলগঞ্জ থানাধীন কালেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীরকে কুলাউড়া পৌরসভাধীন কাছুরকাপন এলাকা থেকে মোটরসাইকেলের তালা খোলার ৪টি মাস্টার চাবিসহ আটক করা হয়।

তাঁকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আন্তজেলা ও বিভাগীয় মোটরসাইকেল চোর রাসেলকে কমলগঞ্জ থানার কালেঙ্গা গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলের খোলা বডিসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

জাহাঙ্গীর ও রাসেলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থানাধীন মেহেরপুর গ্রাম থেকে চোরাই মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্যতম হোতা জুনেদ আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে একটি চোরাই পালসার মোটরসাইকেল ও মোটরসাইকেল খোলার যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

পরে জাহাঙ্গীর, রাসেল ও জুনেদকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আন্তবিভাগীয় চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য সামাদের নিজ বাড়ি গোলাপগঞ্জের পানিয়াগাঁ গ্রামে অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যান। পরে সামাদের বাড়ি থেকে একটি চোরাই সুজুকি মোটরসাইকেল ও একটি আরটিআর মোটরসাইকেল উদ্ধার করে জব্দ করা হয় এবং তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে আরেকটি ডিসকভার মোটরসাইকেল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলে দীপঙ্কর ঘোষ জানান।