আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে আজ ২০ অক্টোবর কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিফ্রিং প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।

দুর্গাপুজা উপলক্ষ্যে কুড়িগ্রামে প্রায় ৬৫টি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং পুলিশ টিমের সমন্বয়ে প্রায় ৬০০ পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকছে, সাথে প্রতিটি পুজামন্ডপে থাকছে স্ট্যাটিক ৩ হাজার ৫০০ আনছার সদস্য। সিনিয়র পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন সেক্টরে বিভক্ত হয়ে দিবারাত্রি প্রতি ন্যানোমুহুর্তে করছে নিবিড় তদারকি। উপজেলা ভিত্তিক স্কাউটস সদস্যরা থাকছে সেচ্ছাসেবক হিসাবে, আরো থাকছে থানাভিত্তিক মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ।

বিফিং প্যারেডে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম সাথে ছিলেন জেলা আনসার কমান্ডেন্ট নাহিদ হাসান জনি ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেদুল হাসান। আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. সাজ্জাদ হোসেন, কুড়িগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব এ.কে.এম. ওহিদুন্নবী, , নাগেশ্বরী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুমন রেজা সহ জেলা পুলিশ ও জেলা আনসারের অন্যন্য সদস্যবৃন্দ।

অদ্য সকাল ১০.০০ ঘটিকায় পুলিশ লাইন্স মাঠে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন পূজা মন্ডবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মোতায়েনকৃত পুলিশ ও আনসার সদস্যদেরর ব্রিফিং প্যারেডের আয়োজন করে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।

পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম সহ উপস্থিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আনসার কমান্ডেন্ট সকলেই শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারের সম্প্রীতির যে সুনিপুণ মেলবন্ধন তা অধিকতর তরান্বিত করতে এবং কুড়িগ্রাম জেলায় সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে সকলে সম্মিলিতভাবে পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কঠোর নির্দেশনা দেন। পুলিশ সুপার বলেন, যদি কেউ সামাজিক সম্প্রীতি জনশৃঙ্খলা ও টেকসই শান্তি, ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচিন্তা করে থাকে তবে তাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না বরং আগের চেয়ে অধিককতর কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে।

তিনি এও বলেন, এবারের শারদীয় দূর্গাপুজায় কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ পুরো জেলায় মাল্টি- লেয়ার্ড নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ হয়েছে এবং বেশির ভাগ পূজামণ্ডপ সংশ্লিষ্ট পুজা উদযাপন কমিটির সম্মানিত নেত্রীবৃন্দের সাথে সমন্বয় করে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। তিনি এও বলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা করা সকল ধর্মের সকল নাগরিকের ধর্মীয়, নৈতিক, সামাজিক ও আইনি দায়িত্ব।