কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কুড়াল দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত স্বামী সত্য চন্দ্র শীলকে (৫৩) লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত গৃহবধূর নাম লতা রানী (৪০)। গত শনিবার ভোররাতে নিজ ঘরে লতা রানী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ঘুমন্ত অবস্থায় সত্য চন্দ্র শীল কুড়াল দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ তাঁদের দুই ছেলের। ঘটনার পর সত্য চন্দ্র শীল পালিয়ে যান। ঘরের বিছানার নিচ থেকে রক্তমাখা কুড়াল উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গেছে, স্ত্রীকে হত্যার পর সত্য চন্দ্র আদিতমারীর বড়াইবাড়ি গ্রামে ভগ্নিপতির বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সত্য চন্দ্র সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই অখিল চন্দ্র শীল বাদী হয়ে সত্য চন্দ্রকে আসামি করে মামলা করেছেন। একই অভিযোগ করেছেন নিহতের দুই ছেলে। আমাদের একটি দল আদিতমারী থানা-পুলিশের সহায়তায় আসামিকে গ্রেপ্তার করে কুড়িগ্রামে এনেছে। নিহতের লাশ সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে রোববার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার সত্য চন্দ্রকে নাগেশ্বরী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
