কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি মধু হত্যা মামলার মূল আসামি রুবেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাজিতপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষের নেতৃত্বে বাজিতপুর থানার একটি চৌকস দল ১৯ মার্চ (মঙ্গলবার) অভিযানটি পরিচালিত হয়।

জেলা পুলিশ জানায়, ১৬ মার্চ বেলা ৩টার দিকে বাজিতপুর থানার মাইজচর ইউনিয়নের আয়নারগোপ গ্রামের মধু চন্দ্র দাসের বাড়িতে পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিবেশী রুবেলের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুরুতর আহত হয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি মধু চন্দ্র দাস মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুরজা রানী দাস বাজিতপুর থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন আয়নারগোপ গ্রামের মো. রুবেল মিয়া (২৫), কল্পনা আক্তার (২৪), আফসার উদ্দিন (৩০) ও মালেকা আক্তার (৫২)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত মধু চন্দ্র দাসের বড় ছেলে সবুজ চন্দ্র দাসের (২৫) সঙ্গে পাশের বাড়ির একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে ১৫ মার্চ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সবুজ চন্দ্র দাসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে মীমাংসা করেন। তবে সে সিদ্ধান্ত না মেনে রুবেল ও তাঁর সহযোগীরা লাঠি-বল্লমসহ ১৬ মার্চ বেলা ৩টার দিকে মধু চন্দ্র দাসের বাড়ি গিয়ে মধু চন্দ্রকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে মধু চন্দ্র গুরুতর আহত হন। তাঁকে বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে উপজেলার ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মধু চন্দ্র দাস মারা যান।

হামলার সময় রুবেল ও তাঁর সহযোগীরা মধু চন্দ্র দাসের ঘর থেকে লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে যান বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এরপর বাজিতপুর থানা-পুলিশের একটি দল ১৯ মার্চ অভিযান চালিয়ে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে ২০ মার্চ (বুধবার) আদালতে সোপর্দ করা হয়।