আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ড্রোন হামলার পরের অবস্থা। ছবি: বিবিসি

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের আগে কাবুলে ড্রোন হামলায় ১০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের তদন্তে বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২৯ আগস্টের হামলায় এক ত্রাণকর্মী ও তাঁর পরিবারের ৯ সদস্য নিহত হয়।

নিহত ১০ জনের মধ্যে সাত শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট শিশুটির বয়স মাত্র দুই বছর।

গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে দেশটির ক্ষমতার প্রায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এরপরই কাবুল থেকে সামরিক-বেসামরিক নাগরিকদের প্রত্যাহারে তোড়জোড় শুরু করে বিভিন্ন দেশ। এ পরিস্থিতির মধ্যেই কাবুল বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলা হয়।

ওই হামলার কয়েক দিন পর ড্রোন আক্রমণ চালায় যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছরের সামরিক উপস্থিতির ইতি টানার আগে এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ কয়েকটি তৎপরতার একটি।

হামলার বিষয়ে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি বলেন, ত্রাণকর্মীর গাড়িটি আট ঘণ্টা ধরে ট্র্যাক করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা ছিল, গাড়িটি আইএসের স্থানীয় শাখা আইএস-কের সঙ্গে জড়িত।

ম্যাকেঞ্জি মনে করছেন, হামলাটি ছিল ‘মর্মান্তিক ভুল’।