ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মারিউপোল বড় ধরনের কলেরা প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকিতে রয়েছে। নগরীর চিকিৎসাসেবা বন্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে যাওয়ায় এ ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে বলে সতর্ক করেছে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

রুশ বাহিনীর কয়েক মাসের অবিরাম হামলার পর মারিউপোলের পতন ঘটে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, নগরীটির নির্বাসিত উপমেয়র বলেছেন, মারিউপোলে এখনো ১ লাখ মানুষ আছে। তারা কলেরার প্রাদুর্ভাবের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিতে আছে।

এর আগে গত মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইউক্রেন ইন্সিডেন্ট ম্যানেজার দোরিত নিতজান একই সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কয়েক সপ্তাহের অবরোধ এবং ভারী বোমাবর্ষণের পর রাশিয়া বাহিনীর দখলে চলে যাওয়া মারিউপোল কলেরার ঝুঁকিতে আছে।

এরপর ১০ জুন (শুক্রবার) সর্বশেষ গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মারিউপোলে কলেরা দেখা দেওয়ার ঝুঁকির কথা জানাল। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে মৌলিক জনসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।

মারিউপোলে নিরাপদ, বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। চিকিৎসাসেবাও মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় কলেরার প্রাদুর্ভাব নগরীর পরিস্থিতিকে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে বলে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে।

মারিউপোলের কলেরার এমন ঝুঁকিতে পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছে বিবিসি। খবরে বলা হয়েছে, গত মাসে পূর্ব ইউক্রেনের স্বঘোষিত দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক জানিয়েছিল, যুদ্ধে মারিউপোলের ৬০ শতাংশ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ এখনো ‍পুনর্নির্মাণ করা যায়নি। কিন্তু মারিউপোলের উপমেয়রের কথা অনুযায়ী, নগরীটিতে এখনো ১ লাখ মানুষ বাস করছে। আর নগরীর বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক মৃতদেহ চাপা পড়ে আছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি আছে। তা ছাড়া নগরীর মূল পানি সরবরাহ ব্যবস্থা এরই মধ্যে নর্দমা থেকে দূষিত হয়ে পড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।