প্রতীকী ছবি

বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৮ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত সাত দিনে (২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর) ৫৩ হাজার ২৪৫ জনের মৃত্যু হয়। গত এক বছরের মধ্যে টানা এক সপ্তাহে এটি সর্বনিম্ন মৃত্যুর রেকর্ড। টিকা দেওয়ায় অগ্রগতির কারণে পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে প্রথম আলোর খবরে এ কথা জানানো হয়েছে। এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪৮ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে দেখা গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, কোভিড-১৯-এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংযোগ রয়েছে এমন মৃত্যুর সংখ্যা বিবেচনায় নিলে প্রকৃত সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে দু-তিন গুণ বেশি হবে।

২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর বিশ্বজুড়ে তা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার টিকা আবিষ্কারের পর তা দেওয়া শুরু করলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর গতি কমতে থাকে।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, টিকা প্রদান কাজে অগ্রগতি হওয়ায় গত মাসজুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় এক-চতুর্থাংশ কমেছে। আগস্টের শেষ থেকেই করোনায় মৃত্যুহার নিম্নমুখী হতে দেখা গেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ৭ হাজার ৬০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা প্রায় এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে সাপ্তাহিক মৃত্যুর রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল।

এএফপির জরিপে দেখা গেছে, বিশ্ববাসীর মধ্যে প্রতি ১০০ জনে প্রায় ৮১টি ডোজ টিকা প্রদান সম্ভব হয়েছে। যদিও টিকা দেওয়ার হারে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে বড় ধরনের ব্যবধান থেকে গেছে।

যেমন উত্তর আমেরিকায় প্রতি ১০০ জন বাসিন্দার মধ্যে ১২৩ ডোজ টিকা প্রদানের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর আফ্রিকার ক্ষেত্রে এ হার প্রতি ১০০ জনে ১১ ডোজ।

ডেলটা ধরনসহ করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরন ছড়াতে থাকায় গত বছর বিশ্বে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি ছিল। এএফপির পরিসংখ্যান বলছে, আগস্টের শেষ দিকের তুলনায় গত এক সপ্তাহে করোনার নতুন সংক্রমণের হার এক-তৃতীয়াংশ কমতে দেখা গেছে।