ঘরের মাঠে টানা ৩৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকা লিভারপুলকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করেছে আটলান্টা। ছবি: সংগৃহীত

ঘরের মাঠ এনফিল্ডে সব সময়ই অপ্রতিরোধ্য লিভারপুল। এই দুর্গে গত ১৪ মাস কোনো ম্যাচ হারেনি তারা। অবশেষে ঘরের মাঠে টানা ৩৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকা দলকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করেছে আটলান্টা। গতকাল রাতে ইউরোপা কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আটলান্টার কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে জার্গেন ক্লপের দল। জোড়া গোল করে আটলান্টার ঐতিহাসিক জয়ের নায়ক জিয়ানলুকা স্কামাকা। অন্য গোলদাতা দলের ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার মারিও প্যাসালিক।

নিজেদের আগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে ড্র নিয়ে খেলতে নামা লিভারপুল এদিন একাদশে ছয়টি পরিবর্তন এনে খেলতে নেমেছিল। তবে ম্যাচজুড়ে অলরেডসরা ছিল বিবর্ণ। বল পজিশন ও শটে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে ধারহীন ছিল স্বাগতিকেরা, রক্ষণেও ফুটে উঠেছিল দুর্বলতা।

ম্যাচের ৩৮ মিনিটে জিয়ানলুকা স্কামাকার গোলে লিড নেয় আটলান্টা। প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মোহাম্মদ সালাহ, দমিনিক সোবোসলাইদের বদলি করেন লিভারপুল কোচ। পরে নামান লুইস দিয়াজ, দিয়েগো জোতাদেরও। কিন্তু লিভারপুল আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। সালাহর একটি গোল অফসাইডে বাতিল হয়। আটলান্টার দ্বিতীয় গোলটি আসে ৬০ মিনিটে, গোলদাতা সেই স্কামাকাই। ৮৩ মিনিটে লিভারপুলের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার মারিও প্যাসালিক।

এতে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম ঘরের মাঠে ম্যাচ হারল লিভারপুল। আর এই ম্যাচ জিতে সেমিতে এক পা দিয়ে রাখল আটলান্টা। তবে দ্বিতীয় লেগ বাকি থাকায় এখনই ইউরোপা লিগ থেকে ছিটকে পড়েনি লিভারপুল। ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে উঠতে হলে লিভারপুলকে এখন পরের লেগে অন্তত ৪-০ ব্যবধানে জিততে হবে। সূত্র : সমকাল