পুলিশি হেফাজতে আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) খুলনা সদর থানার সদস্যরা।

ভুয়া পরিচয়পত্র। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

শনিবার (২ মার্চ) কেএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এঅ্যান্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম বিপিএম জানান, শুক্রবার (১ মার্চ) ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানাধীন বিল ছোনাওঠা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে আসামি বিপ্লব বড়ালকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানান, এনএসআই, ডিজিএফআই, পুলিশ ও বিসিএস কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়তেন বিপ্লব। একপর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতেন। এরপর সেসব ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করতেন। বিপ্লবের বিরুদ্ধে দুটি মামলা আছে। তাঁর ভাই মনা বড়াল একজন পেশাদার ডাকাত, তাঁর বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। তাঁরা দুই ভাই আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মাস ছয়েক আগে ভুক্তভোগী এক নারীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিপ্লবের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভুক্তভোগীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়েন বিপ্লব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করেন বিপ্লব। বিয়ের জন্য চাপ দিলে এবং টাকা ও স্বর্ণালংকার ফেরত চাইলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। পরে ভুক্তভোগী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, বিপ্লব একজন প্রতারক। এনএসআই পরিচয়ে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এঅ্যান্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম বিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

সরদার রকিবুল ইসলাম বিপিএম জানান, সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জয়ন্ত ফকির নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং দেবাশীষ রায় নামের একজনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বিপ্লব ও তাঁর সহযোগীরা। বিপ্লবকে রিমান্ডে চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।